কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) নির্মাণাধীন ভবনের তিন তলার ছাদ থেকে ছিটকে পড়ে সারওয়ার জাহান (৪০) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়ন। নিহত শ্রমিক সারওয়ার হোসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার আমড়ানিয়া পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
এদিকে ৩১ জানুয়ারি সারওয়ারের দুর্ঘটনার সংবাদ শুনে তার পিতা আব্দুর রহমান স্টোক করে মারা যান। পিতা এবং সন্তানের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আশে। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নিহত শ্রমিক সারওয়ারের পরিবার।
জানা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলায় কাজ করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায় সারওয়ার। সেখানে থাকা শ্রমিকরা তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায় সেখানে থেকে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এঘটনায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোঃ মিলনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু এবং নির্মাণ কাজ চলাকালীন সময়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দফতরের সহকারী পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন নতুন কুমিল্লাকে বলেন, ‘ শ্রমিকের মৃত্যুর ব্যাপারে আমি পূর্বে জানতাম না আর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের করার কাজ প্রকৌশল দপ্তরের।’
প্রকৌশল দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম শহিদুল হাসান নতুন কুমিল্লাকে বলেন, ‘পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তর আমাদের যেভাবে নির্দেশনা দেয় আমরা সেভাবেই কাজ করি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন নতুন কুমিল্লাকে বলেন, ‘ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাকে নির্দেশনা দেওয়া হলে আমি সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের নতুন কুমিল্লাকে বলেন, ‘ আমি বিষয়টি মাত্রই জানলাম । এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন উপদেষ্টার সাথে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।’
উল্লেখ্য- বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সম্প্রসারিত অংশের কাজ চলাকালীন সময়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ছাড়াও গত বছর ২ ডিসেম্বর এ ভবন থেকে পড়ে এক শ্রমিক গুরুতর আহত হয়। নির্মাণকাজে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ষ্টারলাইট সার্ভিসেস এর গাফিলতির কারণেই বারবার এমন দূর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ এই হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের।
আরও: